লোভের আগুন
-সুমিতা পয়ড়্যা
সভ্যতা যখন ক্রমশ উচ্চশিক্ষার হারে
মানুষের মানবিকতা ক্রমশ তখন পাশবিকতার তরে।
পরিবর্তন যখন অনিবার্য
তখনও রঙগুলো সব এলোমেলো।
এমনটা কেন!
বিবর্তনের নাকি বৈচিত্র থাকে!
পরিবর্তনের বিভিন্ন রূপ থাকে।
যখন আধুনিক সভ্য সমাজে দাবি ওঠে—
পণ নেব না; পণ দেব না।
তখন ও লোভ-লালসা যে মনের ঘরে গাঁথা
এবড়ো কঠিন সামাজিক ব্যাধি
এ বড় কঠোর কু-প্রথা
এ বড় বাস্তব কুসংস্কার।
নারী-জীবনের অনগ্রসর যৌতুক ব্যাধি!
যখন পণপ্রথার হাতে নির্যাতিত অবহেলিত,
যখন আত্মহত্যায় জীবনের চরম প্রাপ্তি,
যখন অপমানের কষাঘাতে জর্জরিত,
তখনো সমাজের প্রচলিত বিধি-বিধান—
“স্ত্রীধন” যৌতুকের বিলাসিতার অঙ্গ।
বয়স বেড়ে গেলে জাত চলে যায়
এক ঘরে রাখাই যখন নিয়ম
তখনও ছিল এইরকম—
কেউ গায়ে আগুন দিচ্ছে
কেউ হতাশায় দিনে দিনে মৃত্যুর পথে পাড়ি দিচ্ছে;
কেউ মুখ বন্ধ করে নিষ্পেষণ সহ্য করছে
কেউবা আরও একটা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে।
সামাজিক বর্বরোচিত নিয়মে বাধা সমাজ
খন্ডাবে সাধ্য কোথায়!
পণপ্রথা নারী জাতির জীবনে অন্ধকারে এক অমোঘ মৃত্যু!
বিদ্রূপের নির্যাতনের বৃত্তাবদ্ধে সমাজ দর্পণের আলো।
এত করুণ বিসর্জন জীবনের যেন জীবন্ত সংকট!
দেখে শিখে পড়ে শুনে পণের হই হই
তবু পণের চাহিদা বাড়ে বিবাহে হই চই।
পণপ্রথা দীর্ঘদিনের কুপ্রথা।
নির্যাতিত মহিলা; আইন নিষিদ্ধকরণ
তবুও ফাঁকফোকর পণেই নারীর মরণ।
হায়রে সমাজ; হায়রে শিক্ষা
লোভের হাতিয়ারে নিচ্ছে পণ
এমন মারণব্যাধি বিনাশ কবে হবে
সভ্য সমাজে এ যেন চির বিস্ময়!
খুব সুন্দর।